আজ, মঙ্গলবার | ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | রাত ২:৩৪

ব্রেকিং নিউজ :
দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শালিখা মহম্মদপুর উপজেলার নির্বাচন নবীজীকে কটুক্তি: মাগুরার রামচন্দ্রপুর গ্রামে দুটি বাড়িতে আগুন-পুলিশের গুলিতে অর্ধশত আহত মাগুরার এমপি সাকিব আল হাসানের নামে জুয়ার ভূয়া বিজ্ঞাপন মাগুরায় ফিলিস্তিন সংহতি সমাবেশ শ্রীপুরে সমাজসেবা কার্যালয়ের অনুদানের অর্থ বিতরণ মাগুরার শ্রীপুরে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দু’জন আটক সাংবাদিক লক্ষণ চন্দ্র মন্ডলের অন্তেস্টিক্রিয়া সম্পন্ন মহম্মদপুরে মসজিদ নির্মাণের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা মাগুরায় অসহায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে সরকারি অনুদান বিতরণ মাগুরা শহরে চারতলা ভবন থেকে লাফিয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!

বঙ্গোপসাগরে জাহাজ ডুবির ঘটনায় মাগুরার ৬ জন নিঁখোজ

মাগুরা প্রতিদিন ডটকম : চট্টগ্রামে বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙরে জাহাজ ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত মাগুরার ৬ জন নিঁখোজ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্যই নেই। তবে জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মন্ডলগাতী, খলিসাখালি ও রঘুনাথপুর গ্রামের নিঁখোজ পরিবারগুলোতে চলছে শোকের মাতম।

বুধবার দুপুর ৩ টার দিকে এমভি সুলতান সানজা জাহাজটিকে পেছন থেকে অপর একটি লাইটার জাহাজ আঘাত করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ডুবে যায়। ওই জাহাজটিতে কর্মরত মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার যশোবন্তপুর গ্রামের রুবেল এবং খলিসাখালী গ্রামের রবিউল ইসলাম সাঁতরে কুলে উঠতে সক্ষম হয়।

ডুবে যাওয়া এমভি সুলতান সানজা থেকে বেঁচে ফেরা রুবেল মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার যশোবন্তপুর গ্রামের মৃত লুলু মিয়ার ছেলে। তিনি বলেন, আমরা পাথর নিয়ে জাহাজে করে কর্ণফুলির দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু পেছন থেকে অন্য একটি লাইটার জাহাজ আঘাত করে। সে সময় আমাদের জাহাজের মধ্যে মাগুরার মোট ৮ জন ছিলো। আমার সঙ্গে রবিউল কুলে উঠলেও অন্য ৬ জনের খবর পাওয়া যাচ্ছে না। তারা নিঁখোজ রয়েছে।

নিঁখোজ ওই জন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মণ্ডলগাতি গ্রামের নূরোল হোসেন মোল্যার ছেলে শিমুল ও জাহিদ, খসরু বিশ্বাসের ছেলে সুরুজ, গোলাম রসূল মোল্যার ছেলে নূর মোহাম্মদ এবং একই উপজেলার খলিসাখালি গ্রামের কামাল মোল্যার ছেলে মনির হোসেন ও বাবুখালী গ্রামের রঘুনাথপুর আকরাম হোসেনের ছেলে নাজমুল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কোনো খবর পাওয়া যায়নি তিনি জানান।

বৃহস্পতিবার বিকালে মাগুরার নিঁখোজ ওই পরিবারগুলোতে গিয়ে দেখা যায় সেখানে চলছে শোকের মাতম। ওই পরিবারের সদস্যরা ঈদের ছুটির পর চট্টগ্রামে ওই জাহাজটিতে কাজের জন্যে যায়।

মন্ডলগাতি গ্রামের নিঁখোজ শিমুল ও জাহিদের মা ফাতেমা বেগম বলেন, আমার ছেলেরা বুধবার সকালে মোবাইল ফোনে কথা বলে কাজে গেছে। পরে কথা বলবে জানালেও আর কথা হয়নি। এখন শুনছি তাদের জাহাজ ডুবে গেছে।

একইভাবে অন্যান্যদের পরিবারে গিয়েও দেখা যায় প্রতিটি পরিবার শোকাগ্রস্ত। তারা নিজ নিজ পরিবারের নিঁখোজ সন্তানদের সন্ধান চেয়েছেন।

এ বিষয়ে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, জাহাজ ডুবির ঘটনায় মাগুরার কেউ সেখানে কর্মরত ছিলেন এবং তাদের নিঁখোজ কিংবা উদ্ধারের কোনো তথ্যই অফিসিয়ালি আমাদের কাছে নেই। তবে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

শেয়ার করুন...




©All rights reserved Magura Protidin. 2018-2022
IT & Technical Support : BS Technology